নিজস্ব প্রতিনিধি
রাজধানীর চারটি প্রবেশ পথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ আক্রমণের পর ৭ থানায় ১১ মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলার আসামীরা হলেন, বিএনপি’র নেতাকর্মী।
শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার (২৯শে জুলাই) রাজধানীর প্রবেশ পথে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করবে দলটি। তবে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সম্মিলিত আক্রমণে এই কর্মসূচি কোথায়ও সফল হতে দেয়নি। প্রতিটি স্পটে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা চড়াও হয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। তাদের সাথে সহযোগী হিসাবে ছিল পুলিশ। তাদের এই আক্রমণ থেকে বিএনপির সিনিয়র নেতা প্রবীণ রাজনীতিক বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও রক্ষা পায়নি। তাঁকেও রক্তাক্ত হতে দেখা গেছে।
মাতুয়াইলে বাসে আগুন দেয় মোটরসাকেলে আসা হেলমেটপরিহিত যুবকরা। পাশেই ছিল পুলিশ। এসব বিষয় গুলো পত্রিকায় সবিস্তার প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও মামলা দিয়ে আসামী করা হয়েছে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের। মামলায় অভিযোগ হচ্ছে-গাড়িতে আগুন দেওয়া, গতিরোধ, ভাঙচুর, ককটেল নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা।
এগারটি মামলার মধ্যে- উত্তরা পশ্চিম থানায় ২টি, উত্তরা পূর্বে ৩টি, এয়ারপোর্ট থানায় ১টি, সূত্রাপুরে ১টি, বংশালে ১টি, কদমতলীতে ১টি ও যাত্রাবাড়ী থানায় ২টি মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া দারুসসালাম, উত্তরা পশ্চিম ও ডেমরা থানায় আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি অবস্থান করে গাড়িতে আগুন দেওয়া, গতিরোধ, ভাঙচুর, ককটেল নিক্ষেপ ও পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ৪৬৯ বিএনপির নেতাকর্মীকে এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি করা হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ জনকে। মোট আসামির সংখ্যা ৫৪৯ জন।
এর মধ্যে কদমতলী থানার মামলায় এজাহারভুক্ত ৭০ আসামি, যাত্রাবাড়ী থানার দুই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ২১৮, উত্তরা পশ্চিম থানার দুই মামলায় আসামি ৩১, উত্তরা পূর্ব থানার তিন মামলায় আসামি ১০০, সূত্রাপুর থানার মামলায় আসামি ২৫, বংশাল থানার মামলায় আসামি ২৫। এসব মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে। এছাড়া বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ৭০ থেকে ৮০ জন।
Leave a Reply